
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ রেফারেন্স ইন্সটিটিউট ফর কেমিক্যাল,মেজারমেন্টস(বিআরআইসিএম)-এর বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও রিসার্চ ফেলোগণ একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন, যেখানে তারা তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিআরআইসিএমের চীফ সাইন্টিফিক অফিসার মালা খানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগে বিগত ছয় মাস ধরে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও রিসার্চ ফেলোগণ আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। বিষয়টি ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের তদন্তাধীন রয়েছে। কিন্তু এই আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে এক কুচক্রী মহল মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আন্দোলনকারীদের ফ্যাসিবাদের দোসর ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে “জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র-জনতা” নামে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়, যেখানে বিআরআইসিএমের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম উল্লেখ করে তাদের সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, এরা কেউই ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন না বরং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়েছেন।তারা দাবি করেন, দেশে ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পরও তাদের দোসররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখলে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং সৎ ও নির্ভীক আন্দোলনকারীদের দমন করতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। স্মারকলিপিতে এই ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে, প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশে ফ্যাসিবাদী সরকারের যেমন পতন হয়েছে, তেমনি তাদের দোসরদেরও স্থান হবে না। তারা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানান, অন্যথায় ন্যায়বিচার ব্যর্থ হলে আন্দোলনের পরিধি আরও বিস্তৃত করা হবে বলে সতর্ক করেন।