Dhaka 12:54 am, Monday, 17 March 2025
সর্বশেষঃ
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ sharebd পূবাইলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ গ্রেপ্তার পূবাইলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গাজীপুরে সাংবাদিককে জবাইয়ের হুমকি, দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের শিখিয়েছে মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের মর্ম মো: জাহাঙ্গীর আলম ভেন্ডার ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো থেমে নেই সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান : রনি ছিনতাইরোধে মাঠে থাকবে পুলিশের ৩ বিশেষায়িত ইউনিট: আইজিপি গাজীপুর পূবাইলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত আশুলিয়ায় শ্রমিক নেতাদের উপর হামলা, ৩ কর্মকর্তা আটক

বিরামপুরে ফ্যাসিস সরকারের দোসর আমিনুল ইসলাম রাজু

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

দিনাজপুর বিরামপুরে স্টার টেলিকম ও লেডিস কর্নার স্বত্বাধিকারী ওরফে রাজু চৌধুরী। ফ্যাসিস সরকারের দোসর স্হানীয় ভাবে প্রভাব বিস্তার করেন। একপর্যায়ে ধীরে ধীরে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ পন্থী নেতাদের সহিত গভীর সম্পর্ক তৈরি করেন। এরই ফলে প্রতিনিয়ত তার অবৈধ ব্যবসার বিস্তার বাড়তেই থাকে। আজ (২৭ জানুয়ারি ২০২৫) সোমবার দিনাজপুর বিরানপুরের স্টার টেলিকম ও লেডিস কর্নার স্বত্বাধিকারী ওরফে রাজু চৌধুরীর দুর্নীতির কীর্তিকলাপ পর্যবেক্ষণ অব্যাহত ছিল। এবিষয়ে স্হানীয় জনসাধারণের নিকট থেকে জানা যায়,এই আমিনুল ইসলাম রাজু প্রাথমিক অবস্থায় বিরামপুরে গত ১৭ সালে অবস্থান করেন। ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে থাকা বিরামপুরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সহিত সু সম্পর্ক তৈরি করে ফেলেন। এরই সুযোগে পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক ও এনজিও থেকে অনেক অর্থ গ্রহণ করেন। বিরামপুর শহরের মূল পয়েন্ট ঢাকা মোড়ে ছিল তার বিশাল একটি অপ্প মোবাইলের বিশাল দোকান। সে মোবাইলের দোকানে কালোবাজারি মোবাইলের ব্যবসা জমজমাট ছিল। এমন থাকা অবস্থায় ভারত থেকে পার হয়ে আসা বড় একটি মোবাইল চালান বিজিবির হাতে আটক হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক ভাবে আমিনুল ইসলাম রাজুর মালামাল ৬ লক্ষ টাকার জব্দকৃত ভারতীয় মোবাইল চালানটির তথ্যটি প্রকাশ করে দেন। বিরামপুর ঢাকা মোড়ে যে বিশাল মোবাইলের দোকানটিতে ছিল ৬ থেকে ৭ জন পুরুষ ও মহিলা কর্মী। একেকজনের বেতন ছিল মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। তার দোকানটিতে ছিল অনেক নামিদামি কোম্পানির মোবাইল ফোন।এরই মধ্যে তিনি পার্শ্ববর্তী মিজান মার্কেটে একটি শপিং মল স্থাপন করেন। তার শপিংমল ঘেষা ছিল বিরামপুর উপজেলা ফ্যাসিস সরকারের আওয়ামী লীগের উপজেলা অফিস। প্রতিনিয়ত চলতো তাদের আন্ডারগ্রাউন্ডে নেশা ও জুয়ার আসর।স্থানীয় ভাবে ফ্যাসিফ সরকারের দোসরেরা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান করত তার সেই দোকানে। এভাবেই চলত তার রাজকীয় জীবন। ফ্যাসিস সরকারের আমলে শহরের বিশাল একটি দোকান যাহা ছিল বিরামপুর ঢাকা মডেল মূল পয়েন্টে। এত বড় মোবাইলের দোকান বিরামপুর শহরের আর একটিও ছিল না। বিভিন্ন সময় স্থানীয় বিরামপুর আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বসত তার মদের আসর। কিছুদিনের মধ্যেই সে বিষয়গুলি জনসাধারণের মাঝে প্রকাশ পেয়ে যায়। এভাবেই তিনি গড়ে তোলেন অন্ধকার জগতে বিশাল মাফিয়ার একটি নেটওয়ার্ক। তার অনাড়ম্ভম রাজকীয় জীবনের পিছনে অর্থের উৎস ছিল বিরামপুরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে গ্রহণ করা অর্থ। এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলায় পর্যবেক্ষণে জানা যায় এ যাবৎ তিনি এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক ও এনজিও থেকে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা লোপাট করেছেন। যার মধ্যে স্কাই টেলিকম থেকে মোবাইল বাবদ ১৪ লক্ষ টাকা সিটি ব্যাংক থেকে নামে ও বেনামে ১৫ লক্ষ টাকা স্থানীয় বিজুল এলাকার ১জন লীগ কর্মী এহসানুল নামে একজনের কাছ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এছাড়াও স্থানীয় এনজিও এবং ব্যাংকের কাছ থেকে নামে ও বেনামে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে গ্রহণ করেন। যখনই ফ্যাসিস সরকারের পতন হয়ে যায় ঠিক তখনই সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।আমিনুল ইসলাম রাজু বিরামপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অনেক মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনি কঠোর ব্যবস্থার জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

বিরামপুরে ফ্যাসিস সরকারের দোসর আমিনুল ইসলাম রাজু

Update Time : 07:53:45 am, Tuesday, 28 January 2025

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

দিনাজপুর বিরামপুরে স্টার টেলিকম ও লেডিস কর্নার স্বত্বাধিকারী ওরফে রাজু চৌধুরী। ফ্যাসিস সরকারের দোসর স্হানীয় ভাবে প্রভাব বিস্তার করেন। একপর্যায়ে ধীরে ধীরে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ পন্থী নেতাদের সহিত গভীর সম্পর্ক তৈরি করেন। এরই ফলে প্রতিনিয়ত তার অবৈধ ব্যবসার বিস্তার বাড়তেই থাকে। আজ (২৭ জানুয়ারি ২০২৫) সোমবার দিনাজপুর বিরানপুরের স্টার টেলিকম ও লেডিস কর্নার স্বত্বাধিকারী ওরফে রাজু চৌধুরীর দুর্নীতির কীর্তিকলাপ পর্যবেক্ষণ অব্যাহত ছিল। এবিষয়ে স্হানীয় জনসাধারণের নিকট থেকে জানা যায়,এই আমিনুল ইসলাম রাজু প্রাথমিক অবস্থায় বিরামপুরে গত ১৭ সালে অবস্থান করেন। ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে থাকা বিরামপুরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সহিত সু সম্পর্ক তৈরি করে ফেলেন। এরই সুযোগে পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক ও এনজিও থেকে অনেক অর্থ গ্রহণ করেন। বিরামপুর শহরের মূল পয়েন্ট ঢাকা মোড়ে ছিল তার বিশাল একটি অপ্প মোবাইলের বিশাল দোকান। সে মোবাইলের দোকানে কালোবাজারি মোবাইলের ব্যবসা জমজমাট ছিল। এমন থাকা অবস্থায় ভারত থেকে পার হয়ে আসা বড় একটি মোবাইল চালান বিজিবির হাতে আটক হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক ভাবে আমিনুল ইসলাম রাজুর মালামাল ৬ লক্ষ টাকার জব্দকৃত ভারতীয় মোবাইল চালানটির তথ্যটি প্রকাশ করে দেন। বিরামপুর ঢাকা মোড়ে যে বিশাল মোবাইলের দোকানটিতে ছিল ৬ থেকে ৭ জন পুরুষ ও মহিলা কর্মী। একেকজনের বেতন ছিল মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। তার দোকানটিতে ছিল অনেক নামিদামি কোম্পানির মোবাইল ফোন।এরই মধ্যে তিনি পার্শ্ববর্তী মিজান মার্কেটে একটি শপিং মল স্থাপন করেন। তার শপিংমল ঘেষা ছিল বিরামপুর উপজেলা ফ্যাসিস সরকারের আওয়ামী লীগের উপজেলা অফিস। প্রতিনিয়ত চলতো তাদের আন্ডারগ্রাউন্ডে নেশা ও জুয়ার আসর।স্থানীয় ভাবে ফ্যাসিফ সরকারের দোসরেরা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান করত তার সেই দোকানে। এভাবেই চলত তার রাজকীয় জীবন। ফ্যাসিস সরকারের আমলে শহরের বিশাল একটি দোকান যাহা ছিল বিরামপুর ঢাকা মডেল মূল পয়েন্টে। এত বড় মোবাইলের দোকান বিরামপুর শহরের আর একটিও ছিল না। বিভিন্ন সময় স্থানীয় বিরামপুর আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বসত তার মদের আসর। কিছুদিনের মধ্যেই সে বিষয়গুলি জনসাধারণের মাঝে প্রকাশ পেয়ে যায়। এভাবেই তিনি গড়ে তোলেন অন্ধকার জগতে বিশাল মাফিয়ার একটি নেটওয়ার্ক। তার অনাড়ম্ভম রাজকীয় জীবনের পিছনে অর্থের উৎস ছিল বিরামপুরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে গ্রহণ করা অর্থ। এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলায় পর্যবেক্ষণে জানা যায় এ যাবৎ তিনি এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক ও এনজিও থেকে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা লোপাট করেছেন। যার মধ্যে স্কাই টেলিকম থেকে মোবাইল বাবদ ১৪ লক্ষ টাকা সিটি ব্যাংক থেকে নামে ও বেনামে ১৫ লক্ষ টাকা স্থানীয় বিজুল এলাকার ১জন লীগ কর্মী এহসানুল নামে একজনের কাছ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এছাড়াও স্থানীয় এনজিও এবং ব্যাংকের কাছ থেকে নামে ও বেনামে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে গ্রহণ করেন। যখনই ফ্যাসিস সরকারের পতন হয়ে যায় ঠিক তখনই সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।আমিনুল ইসলাম রাজু বিরামপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অনেক মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনি কঠোর ব্যবস্থার জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।।