Dhaka 10:55 am, Sunday, 1 June 2025

নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে: যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

  • Reporter Name
  • Update Time : 12:25:57 am, Wednesday, 23 October 2024
  • 223 Time View

 

স্বাধীন বাংলাদেশ নিউজ ডেক্সঃ-

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয় পেলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে বলে মনে করেন যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ওয়েন। সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে।২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে বড় আর্থিক ও সামরিক সহায়তা পেয়ে আসছে কিয়েভ। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুরু থেকেই তাদের পাশে রয়েছেন। যুদ্ধ চালাতে তাঁর প্রশাসনের কাছ থেকে সবচেয়ে বড় সহায়তা পেয়েছে ইউক্রেন।অপরদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলে আসছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে দ্রুত এ যুদ্ধ থামাতে পারবেন। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও ভালো। বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে ডেভিড ওয়েন বলেন, ‘যদি ট্রাম্প (প্রেসিডেন্ট পদে) ফিরে আসেন, তাহলে সন্দেহ নেই যে তিনি প্রায় যেমনটি বলে থাকেন, সে অনুযায়ী যুদ্ধে মধ্যস্থতার এবং সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করবেন।’৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। হাতে রয়েছে দুই সপ্তাহের কম সময়। নির্বাচনের আগ দিয়ে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে তুমুল প্রচার চালাচ্ছেন ট্রাম্প ও প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস। বিভিন্ন জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে কমলা। তাই ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনে দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।গত শতকে যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মস্কো-ওয়াশিংটন দ্বন্দ্ব কমে। তারপর থেকে ঠিক কোন সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে-এমন প্রশ্নের জবাবে ডেভিড ওয়েন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া দ্বিতীয়বার হামলা চালানোর পর থেকে।যুক্তরাজ্যের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক ছিল বরিস ইয়েলৎসিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে থাকার সময় (১৯৯১-৯৯ সাল)। এ সময়টাতে সবকিছু নাটকীয়ভাবে বদলে গিয়েছিল। ইয়েলৎসিন রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী এবং আরও মধ্যপন্থী করার চেষ্টা করেছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আরও দেখুন

নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে: যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Update Time : 12:25:57 am, Wednesday, 23 October 2024

 

স্বাধীন বাংলাদেশ নিউজ ডেক্সঃ-

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয় পেলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে বলে মনে করেন যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ওয়েন। সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে।২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে বড় আর্থিক ও সামরিক সহায়তা পেয়ে আসছে কিয়েভ। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুরু থেকেই তাদের পাশে রয়েছেন। যুদ্ধ চালাতে তাঁর প্রশাসনের কাছ থেকে সবচেয়ে বড় সহায়তা পেয়েছে ইউক্রেন।অপরদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলে আসছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে দ্রুত এ যুদ্ধ থামাতে পারবেন। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও ভালো। বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে ডেভিড ওয়েন বলেন, ‘যদি ট্রাম্প (প্রেসিডেন্ট পদে) ফিরে আসেন, তাহলে সন্দেহ নেই যে তিনি প্রায় যেমনটি বলে থাকেন, সে অনুযায়ী যুদ্ধে মধ্যস্থতার এবং সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করবেন।’৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। হাতে রয়েছে দুই সপ্তাহের কম সময়। নির্বাচনের আগ দিয়ে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে তুমুল প্রচার চালাচ্ছেন ট্রাম্প ও প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস। বিভিন্ন জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে কমলা। তাই ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনে দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।গত শতকে যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মস্কো-ওয়াশিংটন দ্বন্দ্ব কমে। তারপর থেকে ঠিক কোন সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে-এমন প্রশ্নের জবাবে ডেভিড ওয়েন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া দ্বিতীয়বার হামলা চালানোর পর থেকে।যুক্তরাজ্যের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক ছিল বরিস ইয়েলৎসিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে থাকার সময় (১৯৯১-৯৯ সাল)। এ সময়টাতে সবকিছু নাটকীয়ভাবে বদলে গিয়েছিল। ইয়েলৎসিন রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী এবং আরও মধ্যপন্থী করার চেষ্টা করেছিলেন।