
আহসান হাবিব, (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জে কেঁচো সার উৎপাদন করে বাঁজিমাত দেখিয়েছেন মোবারকপুর ইউনিয়নের নামোটিকরী গ্রামে মোঃ শহিদুল ইসলাম। তাঁর দেখাদেখি অনেক কৃষকই এখন কেঁচো সার উৎপাদন করছেন। অন্যান্য সারের তুলনায় কেঁচো সার ব্যবহারে খরচ কম ও শস্য উৎপাদন বেশি হওয়ায় দিন দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কেঁচো সার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আমাকে প্রায় ৮ মাস আগে আমি স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল পম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি-রেইনস) টেকনিক্যাল বসতবাড়ির পাশে কেঁচো সার তৈরির জন্য একটি টিনের ঘর এবং ১২ টি বেড বানিয়ে দেন আরো আমাকে ৮ হাজার কেঁচো দিয়ে আমি ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করি।প্রথমে আমি ৩০ হাজার টাকার বিক্রয় করি, তাতে আমার খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। বর্তমানে তিনি সার বিক্রির টাকায় দিনে বাবা-মায়ের দেখাশোনা এবং সংসারের খরচ চালাচ্ছেন। তার ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন কেন্দ্রে কাজ করে এলাকার বেশ কয়েকজন বেকার যুবকের আয় উপার্জনের সুযোগ হয়েছে। এছাড়া তাকে অনুসরণ করে এ সার তৈরি করতে ঝুঁকছেন অনেকেই। কৃষকেরা জানান, প্রতি কেজি কেঁচো সার বিক্রি হয় ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা দরে।শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবু মোসায়েব জানান, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় জৈব সারের কোনো বিকল্প নেই। ফলে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন করে মোঃ শহিদুল ইসলাম এলাকায় ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন ।জেলায় ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন বাড়ালে বেকার সমস্যার সমাধান হবে ও সার-কীটনাশক মুক্ত শাক সবজি চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তিনি।